cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
সড়ক-মহাসড়কে মোটরসাইকেলের গতিসীমা কত হবে, সরকার তা নির্ধারণ করে দিলেও চালকরা মানতে চাইছেন না। বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানোর কারণে এ বছর জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৩ হাজার ৫২৮টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৯৯২ জন।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত জুন মাসে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় সর্বোচ্চ ১৯৯ জন নিহত হয়েছেন, যা শতকরা হিসাবে ৩১ শতাংশ। এপ্রিলে সারা দেশে প্রাণ গেছে ১৯১ জনের, এরপর মে মাসে সেই সংখ্যা কমে ১৩৪ জনে দাঁড়ায়। কিন্তু জুন মাসে মৃত্যুহারে উল্লম্ফনের প্রমাণ মেলে সরকারি হিসাবেই। এক মাসে মৃত্যুর হার বেড়েছে ৪০ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
বিআরটিএর হিসাব বলছে, জানুয়ারিতে ১৪৪টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৩৭ জন, ফেব্রুয়ারিতে ২০৬টি দুর্ঘটনায় ১৭০ জন, মার্চে ২০৪টি দুর্ঘটনায় ১৬১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
এদিকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রোড সেফটি ফাউন্ডেশন সোমবার (১৫ জুলাই) জুন মাসের সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুনে সারা দেশে ৭২৬টি দুর্ঘটনার মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার সংখ্যা ২৬৫। এসব ঘটনায় প্রাণ গেছে ২২৭ জনের। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৩৬ দশমিক ৫০ শতাংশ। এ প্রতিষ্ঠানের হিসাবে গত ১১ থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত ঈদুল আজহা উপলক্ষে যাত্রাপথে ১২৯টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১০৪ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এপ্রিল মাসে ৩১৬টি দুর্ঘটনায় ২৫৯ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ও রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘গত সাড়ে পাঁচ বছরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২ হাজার ৭৮৩ জন মারা গেছেন। আমরা পর্যালোচনা করে দেখেছি, ১৩ থেকে ২৫ বছর বয়সী তরুণরা বাইকের চালক ও আরোহী হিসেবে নিহত হয়েছেন বেশি। এ বয়সী তরুণদের মধ্যে জীবনের প্রতি মোহ থাকে কম, তারা অ্যাডভেঞ্চারাস হতে চায়। তারা স্থানীয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ে, এর প্রভাবে সড়কে ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গেও তারা ঝামেলা বাধায়। কোনো আইনকানুন করে তাদের আটকানো যাচ্ছে না। মোটরসাইকেলের গতিসীমা তারা একদমই মানতে চায় না। এ কারণেই তারা বেশি দুর্ঘটনায় পড়ছে।’
বেপরোয়া মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণে আনতে চায় সরকার
বিআরটিএর রোড সেফটি শাখার পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রব্বানী বলেন, ‘সড়কে গতিসীমা নীতিমালার পর আমরা এবার মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি আলাদা নীতিমালা প্রণয়ন করতে যাচ্ছি। সেটির খসড়া করে ইতোমধ্যে সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ে সেটি নিরীক্ষা করার পর মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করা হবে। তারপর আইন মন্ত্রণালয়ের নিরীক্ষা শেষে সেটি আইন আকারে পাস করা হবে।’
বিআরটিএ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মোটরসাইকেল নীতিমালার খসড়ায় বলা হয়েছে শহরে ৩০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে মোটরসাইকেল চলতে পারবে না। মহাসড়কে ১২৬ সিসির (ইঞ্জিনক্ষমতার) মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে খসড়া নীতিমালায়। বলা হয়েছে, মহাসড়কে চলাচলে পেছনে কোনো আরোহী (পিলিয়ন রাইডার) নেওয়া যাবে না। মোটরসাইকেল বিক্রির আগে বিআরটিএর লাইসেন্স নিশ্চিতকরণ ও দুটি করে হেলমেট দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এই হেলমেট হতে হবে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) স্বীকৃত। মোটরসাইকেল চলাচলের খসড়া নীতিমালায় স্কুটিকে উৎসাহ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
এ নীতিমালা নিয়ে বুয়েটের অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক মো. আসিফ রায়হান বলেন, ‘মোটরসাইকেলের গতি কমানো হলেও দেখা গেল অন্যান্য যানবাহন অনেক গতি নিয়ে চলছে। সে ক্ষেত্রে হুট করে মোটরসাইকেলের গতি কমিয়ে দেওয়া হলে ক্র্যাশ পটেনশিয়াল বেড়ে যাবে। উন্নত দেশে চালকরা অন্যান্য যানবাহনের সঙ্গে সংঘর্ষের বিষয়টি আড়াই মিনিট আগেই বুঝতে পারেন। পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, আমাদের দেশে তা অনেক কম। অবশ্য কোনো স্টাডি রিপোর্ট নেই। হুট করে এখন স্পিড লিমিট করে দেওয়া যুক্তিযুক্ত কিছু হবে না।’
তিনি জানান, বুয়েটের অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট এখন মোটরসাইকেলচালক ও আরোহীদের জন্য হেলমেটের বারকোড প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে। বিএসটিআই অনুমোদিত হেলমেট ব্যবহারের বিধিবিধানের কথা বলছে বিআরটিএ। তবে কেউ বিএসটিআইয়ের সিল নকল করে হেলমেট পরিধান করলে এই বারকোড দেখে ট্রাফিক পুলিশ বুঝবেন, চালক বা আরোহী নকল হেলমেট পরিধান করছেন। তখন বিদ্যমান সড়ক আইনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারবে পুলিশ।
এ বিষয়ে ঢাকা শেয়ারিং ড্রাইভারস ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা মো. কামরুল হাসান বলেন, ‘কিছু পয়সা কমাতে আমরা চালকরা মানহীন কিছু হেলমেট পরিধান করি, আরোহীকেও সেটি দিই। মোটরসাইকেল নীতিমালা কবে হবে, তা জানি না। তবে নিরাপত্তার জন্যই আমাদের বিএসটিআই নির্ধারিত হেলমেট পরিধান করা উচিত।’
মে মাসের তুলনায় জুনে সড়কে প্রাণহানি বেড়েছে ৩৬.৯৪ শতাংশ
গত মে মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৮৬ জন নিহত হয়েছিলেন। প্রতিদিন গড়ে নিহত হয়েছিলেন ১৫ দশমিক ৬৭ জন। জুন মাসে প্রতিদিন গড়ে নিহত হয়েছেন ২১ দশমিক ৪৬ জন। এই হিসাবে জুন মাসে প্রাণহানি বেড়েছে ৩৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুন মাসে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৭২৬টি। এসব ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৬৪৪ জন এবং আহত হয়েছেন ১ হাজার ৮২ জন। এই সময়ে ১১টি নৌ-দুর্ঘটনায় ১৪ জন, ৩১টি রেল ট্র্যাক দুর্ঘটনায় ২৫ জন নিহত হয়েছেন। মোটরসাইকেলের বাইরে সর্বোচ্চসংখ্যক যাত্রী মারা গেছেন ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-টেম্পু-লেগুনা দুর্ঘটনা। থ্রি-হুইলার দুর্ঘটনায় গত মাসে মারা গেছেন ১২৮ জন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, গত মাসে দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের সংখ্যা ১ হাজার ১৪৭। সময় বিশ্লেষণে দেখা যায়, সকালে ২৩ দশমিক ৮২ শতাংশ ও রাতে ২০ দশমিক ৬৬ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে। গত মাসে ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ১৭২টি দুর্ঘটনায় ১৫৫ জন নিহত হয়েছেন। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ৪৫টি দুর্ঘটনায় ৩৮ জন নিহত হয়েছেন। রাজধানীতে ৩৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৯ জন নিহত ও ৩৪ জন আহত হয়েছেন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন বলছে, ‘অধিকাংশ দুর্ঘটনা ঘটছে অতিরিক্ত গতির কারণে। পণ্যবাহী যানবাহনচালকদের মধ্যে এই প্রবণতা প্রকট। তারা সব সময় অস্বাভাবিক আচরণ করেন এবং বেপরোয়াভাবে যানবাহন চালান। ফলে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হন। পরিবহনচালকদের পেশাগত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত না করলে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। তাই গতি নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তির মাধ্যমে নজরদারির পাশাপাশি চালকদের মোটিভেশনাল প্রশিক্ষণ দরকার।’